বাংলাদেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা: সাংবিধানিক চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ বা আইনসভা হলো এমন একটি আইনসভা যা দুটি পৃথক কক্ষ নিয়ে গঠিত। যেখানে একটি কক্ষকে “উচ্চকক্ষ”; অন্যটিকে “নিম্নকক্ষ” বলা হয়। এই ধরনের আইনসভায় আইন প্রণয়নে সমান ক্ষমতার ভারসাম্য বা “চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স” নিশ্চিত করা হয়। এই ধরনের আইনসভায় নিম্নকক্ষের সদস্যরা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হন। তাদের হাতেই থাকে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা। তবে আইন কার্যকর […]
সমসাময়িক পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক আইনের সীমাবদ্ধতা এবং তা থেকে পরিত্রানের উপায়

ভূমিকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ বিপ্লবের এক বিশাল সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরাজ করছে। যে পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা সকলে ওয়াকিবহাল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা ভেবেছিলাম যে দেশে একটি বিপ্লবের সূচনা হবে। সেটা তো হলই না, এমনকি কোন সংস্কারও এখনো পর্যন্ত কার্যকর হলো না। এছাড়া দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়েছে। যার সুযোগ নিয়ে কিছু মানুষ সমাজের সেচ্ছাচারিতা করছে। চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ, খুন, গুম ইত্যাদি এখনকার নিত্যদিনের ঘটনা। এর মূল কারণ দেশের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, দুর্বল আইন, আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাব, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্বলতা, স্থানীয় সরকারি কার্যক্রম দুর্বল হয়ে পড়া, বৃহত্তর রাজনৈতিক গোষ্ঠীদ্বয়ের ব্যাপক প্রভাব ইত্যাদি। এতক্ষণ সমস্যাময়িক বর্ণনা করলাম। এখন আমরা দেখব সমসাময়িক পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক আইনের সীমাবদ্ধতা ও এর থেকে পরিত্রাণের উপায়। ✔(১.) সাংবিধানিক আইনের সীমাবদ্ধতা বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালে গৃহীত হলেও, এর বিভিন্ন বিধান এবং পরবর্তী সংশোধনীগুলো সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কিছু সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো: ◑ ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ সমস্যা: সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী এবং কার্যনির্বাহী বিভাগের হাতে অত্যধিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত। উদাহরণস্বরূপ, সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদে সংসদ সদস্যদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা সীমিত করা হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা এবং স্বাধীনতাকে প্রভাবিত করে। প্রভাব: এটি ক্ষমতার অপব্যবহার, রাজনৈতিক প্রভাব এবং সংসদের স্বাধীনতা হ্রাসের কারণ হতে পারে। এ আইনটি সংস্কার করে সংবিধানে ক্ষমতার কেন্দ্রিকরণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সংসদ সদস্যের হাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষমতা থাকলে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ অসম্ভবপর। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ◑নির্বাচনী ব্যবস্থার দুর্বলতা সমস্যা: সংবিধানে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হলেও, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে এর কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ। সাম্প্রতিক সময়ে অর্থাৎ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক এবং জনগণের আস্থার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। প্রভাব: এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে। ◑ প্রতিরোধমূলক আটক এবং মানবাধিকার সমস্যা: সংবিধানের ৩৩ নং অনুচ্ছেদ প্রতিরোধমূলক আটকের বিধান রাখে, যা বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪-এর মাধ্যমে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। এই আইন বিচার ছাড়া আটকের সুযোগ দেয়, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের কারণ হয়েছে। প্রভাব: এটি ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই কালো আইনকে কাজে লাগিয়ে তথাকথিত স্বৈরাচার ‘আয়না ঘর’ এর মতো জঘন্য এবং আইন বিরোধী একটি সেল প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। ◑ সংবিধান সংশোধন প্রক্রিয়ার জটিলতা সমস্যা: সংবিধানের ১৪২ নং অনুচ্ছেদে সংশোধনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন, যা রাজনৈতিক ঐকমত্যের অভাবে কঠিন। প্রভাব: জরুরি সংস্কার বাস্তবায়নে বিলম্ব ঘটে, যা সংবিধানকে সমসাময়িক চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করতে বাধা সৃষ্টি করে। ◑ সামাজিক সমস্যা মোকাবিলায় সীমাবদ্ধতা সমস্যা: সংবিধানে সামাজিক সমতা, নারী-পুরুষের সমান অধিকার এবং মানবাধিকারের কথা বলা হলেও, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, নারীর প্রতি সহিংসতা, শিশুশ্রম এবং দুর্নীতির মতো সমস্যা মোকাবিলায় সাংবিধানিক বিধান কার্যকরভাবে প্রয়োগ হয় না। প্রভাব: এটি সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সমতা প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টি করে। ✔(২.) সমাধানের উপায় সাংবিধানিক আইনের সীমাবদ্ধতা দূর করতে এবং সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে: ক. ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ প্রস্তাব: সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদ সংশোধন করে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা। এছাড়া, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা। ফলাফল: এটি ক্ষমতার অপব্যবহার কমাবে এবং গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা বাড়াবে। খ. নির্বাচনী সংস্কার প্রস্তাব: নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করতে সাংবিধানিক সংস্কার এবং নিরপেক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রবর্তন। এছাড়া, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ইলেকট্রনিক ভোটিং এবং পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার করা। Separation of power নিশ্চিত করতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনে সংসদ সদস্য বা রাষ্ট্রপতির কোন হাত থাকবে না। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচিত করা যেতে পারে। ফলাফল: জনগণের আস্থা ফিরবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী হবে। ◑ মানবাধিকার সুরক্ষা প্রস্তাব: সংবিধানের ৩৩ নং অনুচ্ছেদ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন সংশোধন করে প্রতিরোধমূলক আটকের বিধান সীমিত করা। স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন গঠন এবং বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। ফলাফল: মানবাধিকার লঙ্ঘন কমবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। ◑ সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রস্তাব: সাম্প্রতিক জুলাই বিপ্লবের পর অধ্যাপক আলী রিয়াজের নেতৃত্বে গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন। এর মধ্যে রয়েছে নতুন সংবিধান প্রণয়ন, নাগরিকতন্ত্র প্রবর্তন এবং মূলনীতি হিসেবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। […]
মত প্রকাশের স্বাধীনতা বনাম সাইবার নিরাপত্তা: ডিজিটাল বাংলাদেশে সাংবিধানিক জটিলতা

বাংলাদেশের দ্রুত ডিজিটালাইজেশন একটি জটিল সাংবিধানিক সমস্যার সৃষ্টি করেছে: সাইবার নিরাপত্তার চাহিদা এবং গণতান্ত্রিক শাসনের জন্য অপরিহার্য বাকস্বাধীনতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা। যদিও **বাকস্বাধীনতা** **বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯ [১]** দ্বারা সুরক্ষিত, এর সীমিত বৈশিষ্ট্য **সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট (CSA) ২০২৩ [২]** এর মতো আইনি হস্তক্ষেপের অনুমতি দিয়েছে, যা প্রতিবাদকে দমন করার জন্য ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। […]
নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষা করা সম্ভব নাকি অসম্ভব? বাংলাদেশের সংবিধানের বাস্তবতা বিবেচনায়

নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের সংবিধানের কাঠামোর মধ্যে থেকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষা করতে পারবেন কি না, এটি একটি জটিল বিষয়। সংবিধান ১৯৭২ সালে গৃহীত হয় এবং এতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। যেমন: অনুচ্ছেদ ৭: সংবিধানের সর্বোচ্চতা ও আইনের শাসন অনুচ্ছেদ ১১: প্রজাতন্ত্রের গণতান্ত্রিক চরিত্র অনুচ্ছেদ ২৭: আইনের সমতা অনুচ্ছেদ ৩৯: চিন্তা, বিবেক […]
সামাজিক ন্যায়বিচার অর্থে সমাজতন্ত্র ও শোষণ মুক্তির সমাজতন্ত্র : বাংলাদেশ সংবিধানের সাম্যবাদী বহিঃপ্রকাশ

ভূমিকা সমাজতান্ত্রিক একটি বৈচিত্র্যময় অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থাকে তুলে ধরে। যেখানে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে সমাজ বা রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর সমাজতন্ত্রকে সাম্যবাদী সমাজের প্রথম পর্যায় হিসেবে ধরা হয়।স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের শাসন মুক্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের সংবিধানে মূলনীতি হিসেবে সমাজতন্ত্র সংযুক্ত করা হয়। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার হাত থেকে বাংলাদেশের নিম্ন আয়ের জনসংখ্যা কে […]
বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে জরুরি অবস্থার বিধান এবং নাগরিকদের উপর এর নেতিবাচক প্রভাব

জরুরি অবস্থা বলতে এমন সংকটজনক ও আকস্মিক অবস্থাকে বোঝায় যখন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য হয়ে পড়ে। সাধারণভাবে বলা যায়, জরুরি অবস্থা বলতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থে কোনো আকস্মিক সংকটকালীন অবস্থা কাটিয়ে উঠার জন্য কতিপয় মৌলিক অধিকারের উপর বাধা-নিষেধ আরোপ করাকে বোঝায়। সাধারণত যুদ্ধকালীন সময়, অভ্যন্তরীণ গোলযোগজনিত সময় বা অর্থনৈতিক দুরাবস্থার সময় এ ধরনের জরুরি […]
বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা: বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ

ভূমিকা বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি, যা রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক চরিত্র বজায় রাখার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ১৯৭২ সালের সংবিধানে এটি অন্যতম মৌলিক নীতি হিসেবে সংযোজিত হলেও পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে এর কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এই গবেষণাপত্রে বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা, বাস্তবতা এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ বিশদভাবে আলোচনা করা হবে। ধর্মনিরপেক্ষতার […]
বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা: আইনের বিরোধ নাকি অগ্রগতির অঙ্গীকার?

একসময়, এক সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ভূখণ্ডে একটি ধারণার বীজ রোপিত হয়েছিল—একটি রাষ্ট্র যেখানে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারবে। বাংলাদেশ সেই আদর্শ নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, আদর্শ ও রাজনৈতিক অভিলাষ প্রায়শই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ধর্মনিরপেক্ষতা দেশের সংবিধানে কখনো সুরক্ষিত হয়েছে, আবার কখনো তা দুর্বল হয়েছে। যে ধারণা একসময় সমঅধিকারের প্রতিশ্রুতি […]
ফেডারেলিজম বনাম ইউনিটারি রাষ্ট্র: বাংলাদেশের সাংবিধানিক ভবিষ্যতের জন্য অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা

ভূমিকা বাংলাদেশ একটি এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত হয়, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামোতে ভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। এই প্রবন্ধে ফেডারেলিজম ও এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার তুলনা করা হবে এবং বাংলাদেশের সাংবিধানিক ভবিষ্যতের জন্য বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া শিক্ষা আলোচনা করা হবে। ফেডারেলিজম ও ইউনিটারি রাষ্ট্র: সংজ্ঞা […]
বাংলাদেশি পার্লামেন্টে নারীদের কোটা: কার্যকারিতা এবং নীতিগত প্রভাব মূল্যায়ন

রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে নারীদের প্রতিনিধিত্ব বিশ্বব্যাপী লিঙ্গ সমতার সমর্থকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়। বাংলাদেশ, অন্যান্য অনেক দেশের মতো, নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে পার্লামেন্টে নারীদের জন্য একটি কোটা ব্যবস্থা চালু করেছে। এই প্রবন্ধে বাংলাদেশের কোটা ব্যবস্থার কার্যকারিতা, এটি নীতিনির্ধারণে এর প্রভাব এবং এর সামনে আসা চ্যালেঞ্জগুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭১ সালে জাতীয় সংসদে […]