আইন অঙ্গনে সমালোচনামূলক প্রথম ল জার্নাল

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮: বাংলাদেশে আইনি ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ হতে সমালোচনা

প্রস্তাবনা :

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (DSA) ২০১৮ বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ, ডিজিটাল নিরাপত্তা হুমকি এবং ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠানিক অনলাইন ক্ষতি রোধে প্রবর্তিত হয়েছিল। আইনটির উদ্দেশ্য ছিল ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তবে এটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে তার সম্ভাব্যতা নিয়ে, যা স্বাধীন মতপ্রকাশ, মানবাধিকার এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সংকুচিত করতে পারে। সমালোচকরা দাবি করেন যে আইনটি কর্তৃপক্ষের দ্বারা অপব্যবহারের শিকার হতে পারে, যা নাগরিক স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলবে। এই প্রবন্ধে আইনটির প্রভাবগুলি আইনি এবং সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যার মধ্যে অস্পষ্টতা, অপব্যবহার এবং স্বাধীন মতপ্রকাশের উপর শীতল প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরা হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর উদ্দেশ্য:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (DSA) ২০১৮ বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মূল উদ্দেশ্যে প্রবর্তন করা হয়েছিল। বিশ্ব zunehmend ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দিকে চলে যাওয়ার সাথে সাথে, এই আইনটি সাইবার অপরাধ, ডেটা চুরি, ডিজিটাল হয়রানি, অনলাইন উগ্রবাদ এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানো রোধ করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছিল। আইনের উদ্দেশ্য ছিল একটি নিরাপদ ডিজিটাল পরিবেশ সৃষ্টি করা, যেখানে ব্যক্তিরা, প্রতিষ্ঠানগুলি এবং রাষ্ট্র অনলাইনে নিরাপদ থাকতে পারে, ডিজিটাল পরিকাঠামো রক্ষা করতে পারে এবং ডিজিটাল কার্যক্রমের জন্য দায়িত্বশীল হতে পারে। আইনটি ডিজিটাল হুমকির বিরুদ্ধে ব্যক্তির অধিকার রক্ষা করতে এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের প্রচার করতে চেয়েছিল।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর আইনি সমালোচনাসমূহ:

)  অস্পষ্ট এবং অত্যধিক বিস্তৃত বিধান:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি প্রধান আইনি সমালোচনা হলো এর অস্পষ্টতা এবং বেশ কিছু বিধানের অত্যধিক বিস্তৃতি। সাইবার মানহানি, অনলাইন ঘৃণাবাচক ভাষণ এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর বিষয়গুলির সম্পর্কিত বিধানগুলি স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত নয়, যার ফলে এগুলি ঐচ্ছিকভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। আইনটি প্রশাসনকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিধানগুলি ব্যাখ্যা করার সুযোগ দেয়, যা সঠিকভাবে প্রয়োগ না করা হলে এটি প্রণয়নের উদ্দেশ্য ভঙ্গ করতে পারে। এই অস্পষ্টতা বিশেষ করে সাংবাদিক, বিরোধী এবং নাগরিকদের লক্ষ্য করে মতামত শেয়ার বা বিরোধিতা প্রকাশের জন্য অপব্যবহার করা হয়েছে।

) মতপ্রকাশের  স্বাধীনতার উপর আক্রমণ:

আইনের মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করার সম্ভাবনা একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। আইনের ৫৭ ধারা বিশেষভাবে সমালোচিত হয়েছে, কারণ এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণের সম্ভাবনা তৈরি করে। এই ধারার অধীনে, ব্যক্তিরা এমন কিছু পোস্ট করার জন্য গ্রেপ্তার ও দায়ের হতে পারে যা তাদের সম্পর্কে মিথ্যা বা মানহানিকর বলে গণ্য করা হয়। এটি সাংবাদিক, আন্দোলনকারী এবং সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে, যার ফলে বাংলাদেশে স্বাধীন মতপ্রকাশের উপর এক ধরনের শীতল প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে। নাগরিকরা ভয় পাচ্ছে যে তাদের মতামত আইনের অধীনে অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।

)  অত্যধিক শাস্তি এবং কঠোর শাস্তির বিধান:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি বিভিন্ন অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখেছে, যার মধ্যে দীর্ঘ কারাদণ্ড এবং ভারী জরিমানা রয়েছে। সমালোচকরা বলছেন যে এই শাস্তিগুলি অপরাধের তুলনায় অত্যধিক এবং সহজেই তাদের ব্যবহার করে মতামত দমন বা সরকার বা ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের সমালোচনাকারীদের শাস্তি দেওয়া হতে পারে। এই শাস্তির কঠোরতা আইনটিকে রাজনৈতিক নিপীড়ন এবং জনসমালোচনার উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

)  বিদ্যমান আইনগুলির সাথে অস্পষ্ট সম্পর্ক:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মধ্যে অনেক সমালোচনা এসেছে কারণ এটি বিদ্যমান আইনগুলির সাথে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছে, যেমন ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) আইন। যদিও ICT আইন সাইবার অপরাধ সম্পর্কিত কিছু বিধান রেখেছিল, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তার পরিধি আরও বাড়িয়েছে এবং নতুন অপরাধগুলির অন্তর্ভুক্ত করেছে, যার ফলে একই ব্যক্তি দ্বিগুণ শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন। এই দ্বন্দ্ব আইনটির কার্যকর প্রয়োগকে বাধাগ্রস্ত করেছে এবং আইনগত স্পষ্টতার অভাব সৃষ্টি করেছে।

)  সাংবাদিক এবং উইটনেসদের জন্য দুর্বল সুরক্ষা:

যদিও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যক্তিদের সাইবার অপরাধ থেকে রক্ষা করার দাবি করে, এটি সাংবাদিক এবং উইটনেসদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা প্রদান করে না। দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন বা সরকারী দোষ প্রকাশকারী সাংবাদিকরা আইনটির আওতায় বিশেষভাবে ঝুঁকিতে রয়েছেন। আইনের গ্রেপ্তার এবং আটককরণের বিধান, অস্পষ্ট অভিযোগের সাথে মিলিয়ে, কর্মকর্তাদের সাংবাদিকদের ও মিডিয়া কর্মীদের ভয় দেখাতে এবং মৌলিক সত্যগুলো গোপন করতে সহায়তা করে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর সামাজিক সমালোচনাসমূহ:

)  মতপ্রকাশ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর প্রভাব:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাংলাদেশের মতপ্রকাশ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর শীতল প্রভাব ফেলেছে। গ্রেপ্তার, দীর্ঘ কারাদণ্ড এবং জরিমানার ভয়ে অনেক মানুষ গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারছে না। অনেক নাগরিক, আন্দোলনকারী এবং সাংবাদিক এখন তাদের মতামত প্রকাশে সতর্ক থাকেন, কারণ তারা জানেন যে তাদের মতামত আইনগত দৃষ্টিকোণে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এই ভয়ের পরিবেশ গণতান্ত্রিক সমাজে দরকারি উন্মুক্ত আলোচনা স্তব্ধ করে দিয়েছে।

)  কর্তৃপক্ষের দ্বারা অপব্যবহার এবং রাজনৈতিক নিপীড়ন:

আইনটি বিরোধী কণ্ঠস্বর দমন করার জন্য এবং সরকারের সমালোচনা করা ব্যক্তিদের লক্ষ্য করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। অনেক ঘটনা দেখা গেছে যেখানে আইনটি সরকারী বিরোধী, আন্দোলনকারী এবং মিডিয়া কর্মীদের গ্রেপ্তার করতে ব্যবহৃত হয়েছে যারা সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিলেন। এই আইনটি রাজনৈতিক নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যেখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা রক্ষা করার পরিবর্তে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করা হচ্ছে।

)  গোপনীয়তা এবং ব্যক্তিগত অধিকার সম্পর্কিত হুমকি:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নাগরিকদের গোপনীয়তার ব্যাপারে বড় ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই আইনটি সরকারের কাছে অনলাইন যোগাযোগ মনিটরিং, নজরদারি এবং সাইবার অপরাধের সন্দেহভাজনদের অনুসরণ করার ব্যাপক ক্ষমতা দেয়। এর ফলে ব্যক্তির গোপনীয়তা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়ে, কারণ নাগরিকরা জানেন না যে তাদের ডিজিটাল কার্যক্রম কখনও নজরদারি বা মনিটরিংয়ের আওতায় আসতে পারে।

)  সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উপর প্রভাব:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থাগুলির উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে যারা রাজনৈতিক বা সামাজিক আন্দোলনে যুক্ত, তারা আইনটির কারণে হয়রানির শিকার হয়ে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো, যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইত্যাদি, সরকারের পক্ষ থেকে বেআইনি বা সমস্যাযুক্ত কন্টেন্ট অপসারণের জন্য চাপের মধ্যে রয়েছে। এর ফলে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো নিজেদের প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্ট সেন্সরশিপ করতে শুরু করেছে, যা ব্যবহারকারীদের স্বাধীনভাবে অনলাইনে মতপ্রকাশ করতে বাধাগ্রস্ত করছে।

)  আইনগত ব্যবস্থা এবং সমাজের মাঝে আস্থা সংকট:

সামাজিকভাবে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আইনি ব্যবস্থার প্রতি আস্থাহীনতা সৃষ্টি করেছে। অনেক নাগরিক এই আইনটিকে সরকারের অতিরিক্ত ক্ষমতার এক হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন, যেখানে তারা এটিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা রক্ষার পরিবর্তে নাগরিক অধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমনের একটি উপকরণ হিসেবে মনে করছেন। জনমত জরিপে আইনটি নিয়ে বাড়তি অসন্তুষ্টি প্রকাশিত হয়েছে, কারণ এটি মূলত প্রান্তিক জনগণকে লক্ষ্য করে এবং সামাজিক পরিবর্তনকে স্তব্ধ করে দেয়।

সাম্প্রতিক সংস্কার:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রবর্তিত হওয়ার পর থেকে এটি বেশ কয়েকটি সংশোধনের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া পেয়েছে, বিশেষত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমালোচনার পর। মূল সমালোচনাগুলি স্বাধীন মতপ্রকাশ, অত্যধিক শাস্তি এবং আইনের অপব্যবহার সম্পর্কিত উদ্বেগগুলির উপর কেন্দ্রিত ছিল। এ কারণে সরকার এই উদ্বেগগুলো মোকাবিলা করতে আইনটি সংশোধন করার পদক্ষেপ নিয়েছে।

১)  ২০২০ সালে সংশোধন: জনগণের প্রতিবাদ এবং সমালোচনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে, সরকার ২০২০ সালে আইনটির গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী প্রবর্তিত করেছে। একটি মূল সংশোধনী ছিল অস্পষ্ট বিধানগুলির স্পষ্টীকরণ, যাতে সেগুলি অপব্যবহার না করা হয় এবং যথাযথভাবে প্রয়োগ হয়।

২)  সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মীদের জন্য সুরক্ষা উন্নতকরণ: সংশোধিত আইনে সাংবাদিক এবং মিডিয়া কর্মীদের জন্য স্পষ্ট গাইডলাইনস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে তারা তাদের রিপোর্টিং কার্যক্রমের জন্য হয়রানি বা দমনমূলক কার্যক্রমের শিকার না হন।

৩) ডিজিটাল  গোপনীয়তার সুরক্ষা: গোপনীয়তার অধিকারের বিষয়ে উদ্বেগের প্রতিক্রিয়া হিসেবে, কিছু সংস্কার করা হয়েছে যা নাগরিকদের অযাচিত নজরদারি থেকে রক্ষা করতে সহায়ক।

৪)  আন্তর্জাতিক চাপ এবং সম্পৃক্ততা: বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির চাপের সম্মুখীন হয়েছে, যাতে আইনটি বৈশ্বিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সাথে আরো সঙ্গতিপূর্ণ হয়।

সংস্কারের উপসংহার:

যদিও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাম্প্রতিক সংস্কারগুলি কিছু উদ্বেগ মোকাবিলা করেছে, বিশেষ করে সাংবাদিকদের সুরক্ষা এবং অস্পষ্ট বিধানগুলির স্পষ্টীকরণের মাধ্যমে, তবুও আইনটির অপব্যবহার করার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এটি নিশ্চিত করা যে আইনটি ন্যায়সঙ্গতভাবে প্রয়োগ হবে এবং মানবাধিকার ক্ষুণ্ন না হবে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরও সংস্কার প্রয়োজন হতে পারে যাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা রক্ষা এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রক্ষা করার মধ্যে একটি সঠিক ভারসাম্য স্থাপিত হয়।

উপসংহার:

যতটুকু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ সাইবার অপরাধ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি মোকাবিলা করার জন্য প্রবর্তিত হয়েছিল, এর বাস্তবায়নে আইনি এবং সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে নানা ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। আইনটির অস্পষ্টতা, অত্যধিক শাস্তি, এবং অপব্যবহারের সম্ভাবনা ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। আরো বড়ো কথা, এটি মতপ্রকাশ, গোপনীয়তা এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের উপর শীতল প্রভাব ফেলেছে, যার ফলে জনগণের উন্মুক্ত আলোচনার পরিবেশ বিপন্ন হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যদি তার উদ্দেশ্য সফলভাবে বাস্তবায়িত করতে চায় এবং গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ণ না হয়, তবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে সরকার এই উদ্বেগগুলি স্পষ্টভাবে সমাধান করে, স্পষ্ট সংজ্ঞা এবং স্বাধীন মতপ্রকাশের জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে, এবং আইনের আরও সচ্ছতা নিশ্চিত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *