আইন অঙ্গনে সমালোচনামূলক প্রথম ল জার্নাল

সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মানে কার্যকরী বিচার বিভাগ

ভূমিকা

একটি সমাজ তখনই ন্যায়সঙ্গত হয়, যখন তার বিচার বিভাগ স্বাধীন ও দক্ষ হয়। আইনের শাসন নিশ্চিত করণ, মৌলিক অধিকার রক্ষা এবং সামাজিক সম্প্রীতি বজায়ে এটি কাজ করে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে এবং জাতীয় উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে বিচার বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, মামলা জট, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং দুর্নীতির মতো ক্রমাগত সমস্যাগুলো এর কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করে। বিচার বিভাগকে আরও কার্যকর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখতে হলে বিচার বিভাগীয় সংস্কার, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং দুর্নীতিবিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য।

এই নিবন্ধটি জাতি গঠনে একটি কার্যকর বিচার ব্যবস্থার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করে, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার বর্তমান চ্যালেঞ্জসমূহ পর্যালোচনা করে এবং এর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব প্রদান করে।

জাতি গঠনে বিচার বিভাগের ভূমিকা

বিচার বিভাগ কেবল বিরোধ নিষ্পত্তির একটি প্রক্রিয়া নয়; এটি একটি মৌলিক প্রতিষ্ঠান যা একটি দেশের শাসনব্যবস্থা এবং সামাজিক শৃঙ্খলা গঠন করে।  এর কার্যকারিতা গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে:

১. আইনের শাসন নিশ্চিত করা

একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ স্বেচ্ছাচারী শাসনকে প্রতিরোধ করে, আইনের সুষ্ঠু ও ধারাবাহিক প্রয়োগ নিশ্চিত করে। এটি সরকার এবং নাগরিক উভয়কেই সাংবিধানিক নীতির প্রতি দায়বদ্ধ করার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে রক্ষা করে।

২. মৌলিক অধিকার রক্ষা করা

মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগ শেষ প্রতিরক্ষা হিসেবে কাজ করে। বৈষম্য, বেআইনি আটক এবং সামাজিক অবিচারের মামলার বিচার করে, এটি প্রান্তিক সম্প্রদায়ের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে।

৩. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি রক্ষা

অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য আইনের নিশ্চয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা নিশ্চিত হন যে চুক্তিগুলো বহাল থাকবে এবং বাণিজ্যিক বিরোধগুলো দক্ষতার সাথে সমাধান করা হবে। একটি ধীর এবং অদক্ষ বিচার বিভাগ বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে।

৪. সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখা

যখন নাগরিকরা আইনি ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখেন, তখন আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। একটি দক্ষ ও কার্যকর বিচার বিভাগ সময়োপযোগী ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে, যা নাগরিক অস্থিরতা কমিয়ে আনে এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

বাংলাদেশের বিচার বিভাগের চ্যালেঞ্জ

সংবিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা নিশ্চিত করা হলেও, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, যা ন্যায়বিচার প্রদানের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করছে।

১. মামলার জট

বিচার বিভাগের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো মামলার জট। লক্ষাধিক মামলা বছরের পর বছর বিচারাধীন থাকায় বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার পেতে দীর্ঘ প্রতীক্ষার সম্মুখীন হন। কিছু ক্ষেত্রে দশকের পর দশক ধরে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিচার বিভাগের প্রতি জনসাধারণের আস্থা কমে যায়, যা ন্যায়বিচারের মূল চেতনাকেই বাধাগ্রস্ত করে।

২. বিচার বিভাগে দুর্নীতি

আইন ও বিচার ব্যবস্থার মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ বিচার বিভাগের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ঘুষ, পক্ষপাতিত্ব এবং অনৈতিক অনুশীলন বিভিন্ন স্তরে বিদ্যমান বলে অভিযোগ রয়েছে, যা শুধু ব্যক্তিগত মামলাগুলিকেই প্রভাবিত করে না, বরং সামগ্রিক বিচারিক কাঠামোর ওপর জনসাধারণের আস্থাও দুর্বল করে।

৩. রাজনৈতিক প্রভাব ও বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা

সংবিধানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হলেও, বাস্তবে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ একটি বড় উদ্বেগের কারণ। বিচারক নিয়োগ, উচ্চ-প্রোফাইল মামলার রায়ে রাজনৈতিক চাপ এবং বিচারিক সিদ্ধান্তের উপর নির্বাহী হস্তক্ষেপ বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

৪. ন্যায়বিচারে সীমিত প্রবেশাধিকার

প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী আর্থিক ও কাঠামোগত বাধার কারণে আইনি সহায়তা পেতে হিমশিম খায়। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম তহবিলস্বল্পতা ও অদক্ষতার কারণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে না, ফলে যাদের ন্যায়বিচারের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তারাই বিচার থেকে বঞ্চিত হন।

৫. অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা

বাংলাদেশের আদালতগুলো এখনও প্রথাগত, কাগজ-ভিত্তিক পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল, যা বিচার প্রক্রিয়াকে ধীরগতির করে তোলে। ডিজিটাল মামলা ব্যবস্থাপনা, অনলাইন শুনানি ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বিচার ব্যবস্থাকে গতিশীল ও স্বচ্ছ করতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশ এই খাতে এখনও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি।

কার্যকর বিচার বিভাগের জন্য প্রস্তাবিত সংস্কার

ন্যায়বিচার ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগে ব্যাপক সংস্কার বাস্তবায়ন অপরিহার্য। একটি কার্যকর, স্বচ্ছ এবং জনবান্ধব বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নিম্নলিখিত সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করা যেতে পারে—

১. বিচার বিভাগের ডিজিটালাইজেশন

বিচার ব্যবস্থার আধুনিকায়ন মামলার জট কমাতে এবং বিচারপ্রক্রিয়ার গতিশীলতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এআই-চালিত মামলা ব্যবস্থাপনা, ই-ফাইলিং, ভার্চুয়াল শুনানি ও অনলাইন মামলার ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালু করা হলে বিচারপ্রার্থীরা দ্রুত ও স্বচ্ছ ন্যায়বিচার পেতে পারেন। ভারতের ই-কোর্ট প্রকল্পের সাফল্যের আলোকে বাংলাদেশেও প্রযুক্তি-নির্ভর সমাধানে বিনিয়োগ করা জরুরি।

২. বিচারক ও আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিচারক-জনসংখ্যার অনুপাত অত্যন্ত কম। বিচারপ্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে নতুন বিচারক নিয়োগ, আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি ও আইনি কাঠামোর বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন। প্রতিটি জেলার পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়েও আরও আদালত স্থাপন করলে মামলার চাপ কমবে এবং ন্যায়বিচার আরও সহজলভ্য হবে।

৩. কারাগার ও জামিন ব্যবস্থার সংস্কার

বিচার-পূর্ব আটকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার ও মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে কারাগারে বন্দীদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক বিচারাধীন বন্দী বছরের পর বছর কারাগারে থাকেন, যা তাদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে। জামিনপ্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ করা, বিকল্প শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ ও মামলার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা হলে এই সমস্যা হ্রাস পাবে।

৪. দুর্নীতি দমন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ

বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনসাধারণের আস্থা ফেরাতে দুর্নীতি নির্মূল করা অত্যন্ত জরুরি। বিচার বিভাগীয় তদারকি জোরদার করা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা এবং মামলার কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। একটি স্বাধীন বিচারিক নীতি কমিশন গঠন করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

৫. জনস্বার্থ মামলা (PIL) সহজ করা

জনস্বার্থ মামলা (PIL) নাগরিক ও সুশীল সমাজকে সামাজিক ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ করে দেয়। পরিবেশ সুরক্ষা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সরকারি অনিয়মের বিরুদ্ধে মামলা করার পদ্ধতি সহজ করা হলে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আগ্রহ ও আস্থা বৃদ্ধি পাবে।

৬. বিচারিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা

বিচার বিভাগের কার্যকরতা বাড়াতে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত বিচারিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। বিচারক নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনার পরিবর্তে যোগ্যতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। একটি স্বাধীন বিচারিক পরিষেবা কমিশন গঠন করে নিয়োগ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তদারকি করলে নির্বাহী হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

৭. আইনি সহায়তা সম্প্রসারণ

দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে আইনি সহায়তা বাড়ানো জরুরি। সরকারি আইনি সহায়তা কর্মসূচিগুলোর দক্ষতা বাড়ানো, প্রো-বোনো (স্বেচ্ছাসেবী) আইনজীবীদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা এবং ডিজিটাল আইনি সহায়তা প্ল্যাটফর্ম চালু করলে সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি সহজ হবে।

৮. বিচার বিভাগের প্রতি জনসাধারণের আস্থা বৃদ্ধি

বিচার ব্যবস্থা কার্যকর হতে হলে জনগণের আস্থা থাকতে হবে। স্বচ্ছ আদালত পরিচালনা, বিচারকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং আইনি সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গণমাধ্যম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো জরুরি।

৯. বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (ADR) প্রসারিত করা

আদালতের উপর চাপ কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (ADR) পদ্ধতি যেমন—মধ্যস্থতা, সালিশ ও সমঝোতা আরও বিস্তৃতভাবে প্রচলন করা যেতে পারে। বিশেষ করে বাণিজ্যিক, পারিবারিক ও সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ADR কেন্দ্র স্থাপন করা কার্যকর হতে পারে।

১০. বিচারিক প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি

বিচারক, প্রসিকিউটর ও আইনজীবীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বাড়ানো প্রয়োজন। ডিজিটাল মামলা ব্যবস্থাপনা, মানবাধিকার আইন, সাইবার অপরাধ ও আর্থিক অপরাধ সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ দিলে বিচারিক ব্যবস্থার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে।

১১. ফরেনসিক ও তদন্ত ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ

ফরেনসিক প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা ও দুর্বল তদন্ত পদ্ধতির কারণে অনেক মামলা দীর্ঘায়িত হয় এবং অনেক সময় সঠিক রায় প্রদান করা সম্ভব হয় না। উন্নত ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন, ডিজিটাল প্রমাণ ব্যবস্থাপনা ও আধুনিক তদন্ত কৌশল গ্রহণ করে বিচার বিভাগের কার্যকারিতা বাড়ানো যেতে পারে।

কেস স্টাডি এবং আন্তর্জাতিক তুলনা

১. ভারতে আদালতের ডিজিটালাইজেশন

ভারতে ই-কোর্ট ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে মামলা নিষ্পত্তির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনলাইন মামলা দায়ের, ভার্চুয়াল শুনানি এবং এআই-চালিত আইনি গবেষণা সরঞ্জামের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়ার দক্ষতা ও স্বচ্ছতা উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশও এই মডেল অনুসরণ করে ডিজিটাল বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে, যা মামলা নিষ্পত্তির সময় কমাবে এবং জনগণের আইনি সেবা সহজলভ্য করবে।

২. কেনিয়ায় বিচার বিভাগীয় সংস্কার

কেনিয়া একটি জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন (JSC) চালু করেছে, যা বিচারপতি নিয়োগ এবং তদারকির দায়িত্ব পালন করে, ফলে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে বিচার বিভাগ স্বাধীন রয়েছে। এই ব্যবস্থা বিচার বিভাগের বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশেও এমন একটি স্বতন্ত্র কমিশন গঠন করা হলে বিচারকদের নিয়োগ ও তদারকি আরও নিরপেক্ষ ও কার্যকর হবে।

৩. সিঙ্গাপুরে ADR সাফল্য

সিঙ্গাপুর আদালতের উপর চাপ কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (ADR) পদ্ধতি, বিশেষ করে মধ্যস্থতা ও সালিশ, আইনি কাঠামোর অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর ফলে বাণিজ্যিক ও দেওয়ানি মামলার দ্রুত সমাধান হয়েছে, যা সময় ও ব্যয়ের অপচয় কমিয়েছে। বাংলাদেশেও ADR ব্যবস্থার ব্যাপক প্রয়োগ করলে আদালতের মামলার জট কমবে এবং ন্যায়বিচার দ্রুত ও সহজলভ্য হবে।

উপসংহার

একটি কার্যকর বিচার বিভাগ উন্নত বাংলাদেশের ভিত্তি। এটি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে, মানবাধিকার রক্ষা করে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করে। তবে, মামলার জট, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মতো কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ বিচার বিভাগের দক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতাকে বাধাগ্রস্ত করছে।

ডিজিটাল রূপান্তর, বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা সুসংহতকরণ, আইনি সহায়তা সম্প্রসারণ এবং দুর্নীতিবিরোধী কার্যকর ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে, বাংলাদেশ একটি স্বচ্ছ, গতিশীল ও আধুনিক বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। বিচার বিভাগীয় সংস্কার শুধু আইনি ব্যবস্থার উন্নয়ন নয়—এটি ন্যায়ভিত্তিক, সমৃদ্ধ ও সুশৃঙ্খল বাংলাদেশের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

তথ্যসুত্র

প্রাথমিক সূত্রসমূহ

  • Constitution of the People’s Republic of Bangladesh 1972
  • The Code of Civil Procedure, 1908 (Bangladesh)
  • The Code of Criminal Procedure, 1898 (Bangladesh)
  • The Legal Aid Services Act, 2000 (Bangladesh)

মামলা

  • State v Deputy Commissioner, Satkhira (1993) 45 DLR (AD) 1
  • Anwar Hossain Chowdhury v Bangladesh (1989) 41 DLR (AD) 165
  • Dr Mohiuddin Farooque v Bangladesh (1997) 49 DLR (AD) 1

সেকেন্ডারি সূত্রসমূহ

  • Mahmudul Islam, Constitutional Law of Bangladesh (3rd edn, Mullick Brothers 2012)
  • Mizanur Rahman, Human Rights and the Judiciary in Bangladesh (1st edn, ELCOP 2004)
  • Md Abdul Halim, ‘The Judiciary of Bangladesh: Independence and Accountability’ (2007) 9(2) Bangladesh Journal of Law 25
  • Shahdeen Malik, ‘Delays in the Legal System of Bangladesh: Causes and Solutions’ (2010) 5(1) Dhaka Law Review 45
  • Law Commission of Bangladesh, Report on Backlog of Cases and Judicial Reforms (Law Commission, Dhaka 2018)
  • Transparency International Bangladesh, Judiciary and Corruption: A Study of the Lower Courts in Bangladesh (TIB, Dhaka 2020) https://www.ti-bangladesh.org accessed 8 March 2025
  • United Nations Development Programme (UNDP), Access to Justice in Bangladesh (UNDP, New York 2019)

Reference-9

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *