আইন অঙ্গনে সমালোচনামূলক প্রথম ল জার্নাল

শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আদালত প্রাঙ্গণের প্রবেশযোগ্যতা : সমান প্রবেশাধিকারের জন্য আইনি সংস্কার ও মূল্যায়ন

প্রস্তাবনা: শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের একটি মৌলিক অধিকার হল বিচার পাওয়ার অধিকার। তবে, শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশে এখনও অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে। পরিকাঠামোগত বাধা, আইনগত সীমাবদ্ধতা এবং প্রশাসনিক অবহেলার কারণে তারা তাদের বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই প্রবন্ধে শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতার সমস্যা, বিদ্যমান আইন এবং আইনি ও পরিকাঠামোগত সংস্কারের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

বর্তমান পরিস্থিতি: বিশ্বের অনেক দেশে আদালত ভবনগুলি এখনও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য পুরোপুরি প্রবেশযোগ্য নয়। পর্যাপ্ত হুইলচেয়ার র‍্যাম্প, লিফট, ব্রেইল চিহ্ন, দৃষ্টিহীন ব্যক্তিদের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত সহায়তার অভাবের কারণে তারা বিচার পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে আদালতের অবস্থা আরও সংকটময়। অনেক ক্ষেত্রেই আদালতে প্রবেশ করার একমাত্র উপায় সিঁড়ি ব্যবহার করা, যা হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বড় বাধা। শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য শ্রবণযন্ত্র এবং দৃষ্টিহীনদের জন্য ডিজিটাল সহায়তার অভাব বিচার প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণকে কঠিন করে তোলে।

বাংলাদেশের সাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলাদেশের সংবিধান সকল নাগরিকের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে। ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সকল নাগরিক আইন অনুযায়ী সমান এবং আইনের সুরক্ষায় সমান অধিকার ভোগ করবে। ২৮(৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র মহিলা, শিশু এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা করতে ২০১৩ সালে “প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন” প্রণীত হয়, যা আদালত ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রবেশযোগ্য করার নির্দেশ দেয়। তবে, এই আইনের বাস্তবায়ন এখনও যথেষ্ট নয় এবং আদালত ভবনে প্রবেশযোগ্যতার ক্ষেত্রে বড় সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

বাংলাদেশে আদালতের প্রবেশযোগ্যতার মূল্যায়ন: বাংলাদেশে আদালত ভবনের প্রবেশযোগ্যতার পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, বেশিরভাগ আদালতে এখনও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য যথাযথ পরিকাঠামো নেই। যদিও ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের মতো কিছু বড় আদালতে কিছু প্রবেশযোগ্যতার ব্যবস্থা আছে, জেলা এবং উপজেলা আদালতগুলিতে এসব সুবিধা নেই। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হল:

১. পরিকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ: বেশিরভাগ আদালত ভবন পুরনো এবং এগুলিতে হুইলচেয়ার র‍্যাম্প, লিফট বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য পৃথক প্রবেশপথের মতো সুবিধা নেই।

২. প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা: দৃষ্টিহীন বা শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার অভাব, যা তাদের আইনগত সংগ্রামকে আরও জটিল করে তোলে।

৩. সচেতনতার অভাব: অনেক আদালতের কর্মকর্তারা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিশেষ চাহিদা সম্পর্কে অবগত নন, যার ফলে অবহেলার ঘটনা ঘটে।

৪. আইন প্রয়োগের দুর্বলতা: ২০১৩ সালের আইনে আদালতগুলিকে প্রবেশযোগ্য করার নির্দেশ থাকলেও, বাস্তবায়ন এখনও কার্যকরীভাবে বাস্তবায়িত হয়নি।

মানসিক সহায়তা আদালতে: মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করার সময় বড় মানসিক চাপের মুখোমুখি হন। আদালত প্রাঙ্গণে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কাউন্সেলিং স্টাফ বা মনোবিজ্ঞানী রাখার প্রয়োজন রয়েছে, যাতে তারা আইনি প্রক্রিয়া বুঝতে পারেন এবং মানসিক চাপের মধ্যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। একটি সিস্টেম তৈরি করা উচিত যা মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আদালতের কার্যক্রমে আত্মবিশ্বাসের সাথে অংশগ্রহণে সহায়ক হবে।

আন্তর্জাতিক উদাহরণ: বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, যেমন জাতিসংঘ (UN), বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা আদালতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রবেশযোগ্যতার গুরুত্ব নিয়ে জোর দিয়েছে। ২০০৬ সালে জাতিসংঘ “প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার কনভেনশন” (CRPD) গ্রহণ করে, যা বিশেষভাবে আদালত ও অন্যান্য পাবলিক স্থানে প্রবেশাধিকারের অধিকারটি উল্লেখ করেছে। এই বিষয়ে আইন এবং নির্দেশনা আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বাধ্যতামূলক হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো আদালতে প্রবেশযোগ্যতা নিশ্চিত করতে পরিকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত উন্নতি করেছে। এর মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স শুনানি, হুইলচেয়ার র‍্যাম্প এবং লিফট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যাতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আইনগত প্রক্রিয়ায় পূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে।

স্থানীয় আইনজীবীদের ভূমিকা: আইনজীবীরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আইনগত সহায়তা প্রদান করার সময়, স্থানীয় আইনজীবীদের তাদের বিশেষ চাহিদা ও আইনি অধিকার সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকতে হবে। কিছু দেশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ আইনজীবী প্রোগ্রাম চালু করেছে, যেখানে আইনজীবীরা বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। স্থানীয় আইনজীবীরা যদি যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত হন, তবে বিচারিক প্রক্রিয়া আরও ন্যায়সঙ্গত এবং সুবিচারপূর্ণ হবে।

বিশেষ আদালত: বেশ কিছু দেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এসব আদালতকে এমনভাবে ডিজাইন করা যেতে পারে, যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আইনি প্রক্রিয়া আরও প্রবেশযোগ্য এবং সাশ্রয়ী করে তোলে। বিশেষ আদালত ব্যবস্থায়, বিচারক, আইনজীবী এবং অন্যান্য আদালত কর্মীরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাথে মোকাবিলা করার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত থাকবেন, যাতে তারা কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই আদালতে উপস্থিত হতে পারেন।

সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির সহযোগিতা: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আদালত প্রবেশে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন, এবং এই চ্যালেঞ্জগুলি সমাধান করতে সরকার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির সহযোগিতা প্রয়োজন। সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি, সামাজিক কল্যাণ প্রতিষ্ঠান এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তারা আইনগত সহায়তা প্রদান, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করতে পারে, যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিচার পাওয়া সহজ করে তোলে।

সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি: আদালতে প্রবেশযোগ্যতা শুধুমাত্র একটি পরিকাঠামোগত বা আইনি সমস্যা নয়; এটি একটি গভীর সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সমস্যা। দীর্ঘকাল ধরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব, বৈষম্য এবং অবহেলা তাদের বিচার প্রাপ্তির পথে বড় বাধা সৃষ্টি করে।

১. সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি:

জনসাধারণের মধ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সক্ষমতা সম্পর্কে অনেক সময় নেতিবাচক বা অজ্ঞাত ধারণা থাকে, যার ফলে আদালতে যাওয়ার সময় তারা সাহায্য না পেয়ে নিরুৎসাহিত হন।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পরিবার এবং সমাজ তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন না হওয়ায় তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে বা ন্যায়বিচারের জন্য আবেদন করতে সমস্যায় পড়েন।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সাধারণত কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন, যা তাদের আইনি ফি বা আইনজীবী নিয়োগের সামর্থ্যকে প্রভাবিত করে।

২. সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি:

অনেক দেশে, বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ায়, প্রতিবন্ধকতাকে একটি অপব্যাখ্যা বা দুর্ভাগ্য হিসাবে দেখা হয়, যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য বিচার প্রাপ্তির পথে আরও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

আইনজীবী পেশায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংখ্যা কম, কারণ এই ক্ষেত্রে তাদের জন্য স্বীকৃতি এবং সুযোগ নেই।

সংস্কৃতি এবং আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে, যা প্রায়ই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সীমাবদ্ধ এবং কঠিন হয়ে ওঠে।

সমাধান এবং সুপারিশ:

১. সচেতনতা বৃদ্ধি: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কর্মস্থলে বৃদ্ধি করতে হবে। মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার এবং সফলতার কাহিনী প্রচার করা উচিত।

২. অর্থনৈতিক সহায়তা: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সরকারী এবং বেসরকারী উদ্যোগের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা তহবিল তৈরি করা উচিত।

৩. সাংস্কৃতিক পরিবর্তন: একটি সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের প্রয়োজন, যাতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পূর্ণাঙ্গ নাগরিক হিসাবে দেখা হয় এবং সমাজে তাদের সম্পৃক্তি বৃদ্ধি পায়।

৪. আইনি পেশায় অন্তর্ভুক্তি: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আইনজীবী এবং বিচারক হিসাবে আইনি পেশায় অন্তর্ভুক্ত করে, বিচারিক ব্যবস্থা আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং তাদের চাহিদার প্রতি যথাযথ প্রতিফলিত হবে।

সংবেদনশীল প্রশিক্ষণ: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিচার নিশ্চিত করতে, আদালতের কর্মী, বিচারক এবং আইনজীবীদের সংবেদনশীল প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। এই প্রশিক্ষণটি তাদের বিশেষ চাহিদা বোঝার এবং তাদের সাথে সম্মানজনক ও সহযোগিতামূলকভাবে আচরণ করার সুযোগ প্রদান করবে।

একত্রিত আদালত ব্যবস্থাপনা: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিচার নিশ্চিত করতে, একত্রিত আদালত ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পদ্ধতি নিশ্চিত করবে যে আদালত অবকাঠামো, প্রযুক্তি, প্রশাসনিক প্রক্রিয়া এবং মানবসম্পদ সমন্বিতভাবে কাজ করছে, যাতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের বিচারিক যাত্রায় কোনও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন না হন।

আন্তর্জাতিক উদাহরণ: কিছু দেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আদালতে বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে, যেমন:

১. যুক্তরাষ্ট্র: “আমেরিকান উইথ ডিসঅ্যাবিলিটিস অ্যাক্ট” (ADA) এর অধীনে, হুইলচেয়ার র‍্যাম্প, অডিওভিজ্যুয়াল সহায়ক প্রযুক্তি এবং সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ অনুবাদকদের মতো ব্যবস্থা আদালত এবং অন্যান্য পাবলিক স্থানে উপলব্ধ।

২. যুক্তরাজ্য: আদালত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য পরিবহন সহায়তা, প্রবেশযোগ্যতা সেবা এবং নির্ধারিত সহায়ক প্রদান করে, যাতে তারা তাদের আইনি অধিকার পুরোপুরি বুঝতে এবং ব্যবহার করতে পারে।

৩. অস্ট্রেলিয়া: “ডিসঅ্যাবিলিটি ডিসক্রিমিনেশন অ্যাক্ট ১৯৯২” এর অধীনে আদালতে প্রবেশযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যেমন হুইলচেয়ার প্রবেশাধিকার, শব্দ অডিও সরঞ্জাম এবং আরও অনেক কিছু।

উপসংহার: শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আদালতে প্রবেশযোগ্যতা নিশ্চিত করা বিচার প্রতিষ্ঠার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিদ্যমান আইনগুলির কার্যকর বাস্তবায়ন এবং নতুন আইনি ও পরিকাঠামোগত সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তাদের সমান অধিকার নিশ্চিত করা যায়। আদালতের প্রবেশযোগ্যতা শুধুমাত্র তাদের অধিকার নিশ্চিত করে না, এটি সমাজের সকল সদস্যের জন্য বিচার প্রতিষ্ঠার একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করে। আদালতগুলোকে আরও উৎসাহিত করা উচিত যাতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিচার নিশ্চিত করা যায় এবং সমাজে অন্তর্ভুক্তিমূলক বিচার ব্যবস্থার ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই পরিবর্তনগুলি শুধু আইনি ও পরিকাঠামোগত সংস্কার আনবে না, বরং সমাজের মানসিকতার একটি বৃহত্তর পরিবর্তন সৃষ্টি করবে, যা সকলের জন্য একটি ন্যায়পরায়ণ এবং ন্যায়সঙ্গত সম্প্রদায় গঠন করতে সাহায্য করবে।

তথ্যসূত্র:

১. জাতিসংঘ (২০০৬)। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার কনভেনশন (CRPD)। প্রাপ্ত: https://www.un.org/disabilities/convention-on-the-rights-of-persons-with-disabilities/

২. বাংলাদেশ সরকার (২০১৩)। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩। ঢাকা, বাংলাদেশ।

৩. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) (২০১১)। বিশ্ব প্রতিবন্ধী প্রতিবেদন। প্রাপ্ত: https://www.who.int/disabilities/world_report/2011/en/

৪. যুক্তরাষ্ট্র বিচার বিভাগ (১৯৯০)। আমেরিকান উইথ ডিসঅ্যাবিলিটিস অ্যাক্ট (ADA)। প্রাপ্ত: https://www.ada.gov/

৫. অস্ট্রেলিয়ান সরকার (১৯৯২)। ডিসঅ্যাবিলিটি ডিসক্রিমিনেশন অ্যাক্ট ১৯৯২। প্রাপ্ত: https://www.legislation.gov.au/Series/C2004A03111

৬.বাংলাদেশ সংবিধান 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *