আইন অঙ্গনে সমালোচনামূলক প্রথম ল জার্নাল

বিদেশী অনুদান (স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম) প্রবিধান আইন, 2016 এর সমালোচনামূলক সমালোচনা: বাংলাদেশের আইনি ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ

 ভূমিকা:

 বাংলাদেশের হাওয়ায় বয়ে যাচ্ছে পরিবর্তনের কর্ণিশ আহ্বান, সাথে বহন করছে একটি উজ্জ্বল নিয়তির গতিশীল ও প্রতিশ্রুতি।  আন্তরিকভাবে এই পরিবর্তনের সূচনা করতে আমাদের অবশ্যই আমাদের পূর্বের ভুলগুলি স্বীকার করতে হবে এবং সেগুলি পরিষ্কার করার জন্য কাজ করতে হবে।  বিশেষ করে, মানবাধিকারের উপর সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এমন আইনগুলিকে পুনর্বিবেচনা করার জন্য আমাদের জন্য উপযুক্ত সময়।

 “বিদেশী অনুদান (স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম) প্রবিধান আইন, ২০১৬” স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে নিযুক্ত বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) দ্বারা বিদেশী অনুদানের প্রাপ্তি এবং ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাংলাদেশে প্রণীত একটি আইন।

 এই আইনটি উদ্দেশ্য নিয়ে প্রবর্তিত হয়েছিল:

 ক) বিদেশী অনুদানের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা;

 খ) জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর বলে বিবেচিত কাজের জন্য তহবিলের অপব্যবহার রোধ করা;

 গ) এনজিওগুলির মধ্যে জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা প্রচার করা।

 বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ আইন অনুযায়ী:

 *আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪।

 *অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং আইন,২০১২

 *শ্রম আইন

 * বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার,১৯৭২

 * কোম্পানি আইন,১৯৯৪

  এগুলি এমন কিছু দিক যার দ্বারা আমরা বাংলাদেশের অন্যান্য আইনের সাথে এই আইনের প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পেতে পারি।

 আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ:

 (i) প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন

 (ii) আর্থিক প্রবিধান এবং অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং

 (iii) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন

 সমালোচনা:

 আইনি দৃষ্টিকোণ:

*সংজ্ঞায় অস্পষ্টতা:

 “দেশবিরোধী কার্যকলাপ” এবং “জনস্বার্থের বিরোধিতা” এর মতো শর্তাবলী আইনটিতে অস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

 *অতিরিক্ত আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ:

 বিদেশী অনুদান আইন দ্বারা অর্থায়িত প্রতিটি কার্যকলাপের জন্য এনজিওগুলিকে অবশ্যই এনজিওএবি থেকে পূর্বানুমতি নিতে হবে।

 *সংসর্গের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করা:

 আইনটি সংগঠনের স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের জন্য সীমাবদ্ধ হিসাবে বিবেচিত হয়, যা বাংলাদেশের সংবিধানের 38 অনুচ্ছেদের অধীনে নিশ্চিত করা হয়েছে।  *ফৌজদারী দণ্ড:

 আইনটি অ-সম্মতির জন্য ফৌজদারি দণ্ড প্রবর্তন করে, যার মধ্যে নিবন্ধন বাতিল, কারাদণ্ড এবং জরিমানা রয়েছে।

*বিচারিক তদারকির অভাব:

এনজিও নিবন্ধন বা অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করে এমন ক্ষেত্রে বিচারিক পর্যালোচনার কোনো বিধান নেই।

 সমালোচনা: সামাজিক দৃষ্টিকোণ

 *সুশীল সমাজকে দমিয়ে রাখা:

  আইনের নিষেধাজ্ঞামূলক বিধানগুলি তাদের স্বাধীনভাবে এবং কার্যকরভাবে কাজ করার ক্ষমতাকে সীমিত করে, যার ফলে সুশীল সমাজের কণ্ঠস্বর দুর্বল হয়।

 *বিদেশী দাতাদের প্রতিবন্ধকতা:

 আইনের জটিল অনুমোদন প্রক্রিয়া এবং বিধিনিষেধমূলক বিধান বিদেশী দাতাদেরকে বাংলাদেশে এনজিওকে অর্থায়ন করতে বাধা দেয়।

 *প্রান্তিক সম্প্রদায়ের উপর প্রভাব:

 অনেক এনজিও প্রান্তিক এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীর সাথে কাজ করে, প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদান করে যা সরকার সম্পূর্ণরূপে সমাধান করতে পারে না।

 প্রস্তাবিত সমাধান:

  *বিধানগুলি স্পষ্ট করুন।

 *প্রশাসনিক প্রক্রিয়া স্ট্রীমলাইন।

 * বিচার বিভাগীয় তত্ত্বাবধান বাড়ান।

 *স্বচ্ছতা প্রচার করুন:

 *ব্যালেন্স রেগুলেশন এবং স্বায়ত্তশাসন:

 নিম্নোক্ত আইনের গুরুত্বকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।  [প্রধান পয়েন্ট 1], [কী পয়েন্ট 2] এবং [প্রধান পয়েন্ট 3] পরীক্ষা করে, আমরা আমাদের দেশে এর গভীর প্রভাব দেখতে পাই।  আমরা এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে, “বিদেশী অনুদান (স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম) রেগুলেশন অ্যাক্ট, 2016” যথাযথভাবে বজায় রাখা এবং অনুসরণ করা অপরিহার্য।  শুধুমাত্র তা করেই আমরা সত্যিকার অর্থে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল বা উন্নতি অর্জন করতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *