আইন অঙ্গনে সমালোচনামূলক প্রথম ল জার্নাল

এএসপি পলাশসাহার মৃ*ত্যু ও আমার আত্মবিশ্লেষণের ভাবনা

প্রফেসর ডঃ জুলফিকার আহম্মদ

পলাশ সাহা নামে একজন সিনিয়র এএসপি নিজের পিস্তল দিয়ে আ*ত্মহ*ত্যা করেছেন। মা*রা যাওয়ার আগে চিরকুটে তিনি লিখেছেন, ‘আমার মৃ*ত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ি না। আমিই দায়ি। কাউকে  ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের উপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অডিনেট করে।’

সফল ক্যারিয়ার। সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। তবুও এই পৃথিবী তাকে টানলো না। তিনি কাউকে অভিযুক্ত করলেন না। তবে, কোথায় যেন নিজের বিষাদের ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন।

আ*ত্ম*হ*ত্যা করব না তাকে আমরা রোধ করব কিভাবে? এটা কি শুধু হতাশা থেকে আসে? কোন বয়সের মানুষের ভেতরে এ ধরনের প্রবণতা বেশি? কিন্তু এসপি পলাশ সাহা কেন এই পথ বেছে নিলেন?

এগুলো নিয়ে ভাবতে গিয়ে কাল সারা রাত ঘুমোতে পারিনি। এতদিন ভাবতাম, শুধু টিনেজারদের মধ্যেই এই প্রবণতা। পলাশ সাহার মতো একজন সফল মানুষের এমন সিদ্ধান্তে কবি ইমতিয়াজ মাহমুদের কবিতা মনে পড়ে গেলঃ

‘আত্মীয় স্বজনই মানুষকে কবরে শুইয়ে দেয়। কাউকে মৃত আর কাউকে জীবিত।’

 আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যারা জোর করে বেঁচে আছে। মরতে সাহস পায় না, কিন্ত আদতে তারা মরে গেছে। বেঁচে আছে কিছু দায়িত্ববোধের তাড়নায়।

২০২৩ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরাফাত সিয়াম নামে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের  আ*ত্ম*হ*ত্যা করেন। আরাফাত সিয়াম আ*ত্ম*হ*ত্যা করার আগে মঙ্গলবার ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইংরেজিতে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন-

‘আমার সব জিজ্ঞাসা আজ পথ পেয়েছে। সবকিছুর উত্তর পেয়েছি। এটা স্বর্গীয় মুহূর্ত, যা আমি আগে কখনো পরখ করিনি। কোনো শব্দ দিয়ে তা বর্ণনা করা যাবে না…সমস্ত জীবনে একটা প্রশ্নই আমাকে তাড়া করত। জীবনের মানে কী? আমি আমার সমস্ত জীবনজুড়ে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছি। আমি প্রায় সম্ভাব্য সব বই পড়েছি…কিন্তু একটা বিষয় জানা জরুরি যে, কেউ তোমাকে এটা শেখাতে পারবে না…জীবনকে বুঝতে হলে তোমাকে আগে মৃ*ত্যুকে বুঝতে হবে। এটা সবকিছুর পরিসমাপ্তি। যখনই তুমি মৃ*ত্যুকে বুঝতে পারবে তখনই তুমি জীবনের উদ্দেশ্য জানতে পারবে।’

আমি আগাগোড়া সু*ইসাই*ড বিরোধী মানুষ। তবে যাদের বেঁচে থাকা অসহ্য মনে হয়, তাদেরকে প্রভাবিত করে বাঁচিয়ে রাখার লোভ দেখাতে গিয়ে যখন নিজের দিকে তাকাই, মনে হয়-আমারও তো অনেক আগেই মরে যাওয়ার কথা ছিল।

জোর করে বেঁচে থাকা মানুষের মিছিলই দীর্ঘ। আ*ত্মা*হুতি কোনও উল্লেখযোগ্য কাজ না। থাকলে বড় মিছিলেই থাকা উত্তম। চলো, জোর করেই বেঁচে থাকি।

এ সমস্ত কথাবার্তার যুক্তিগর্ভ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দরকার?

সফল ক্যারিয়ারের পলাশ সাহার মৃ*ত্যু আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এভাবে সমাজ-সংসারের দোহাই দিয়ে আর কত প্রাণ চলে যাবে?

আর সে জন্যই রাতভর খেঁটে খুঁটে এই পর্যবেক্ষণ – যেখানে আ*ত্ম*হ*ত্যার মতো গুরুতর বিষয়কে ব্যঙ্গ নয়, বরং মনস্তত্ত্বের পর্যবেক্ষণ, সমাজের প্রতিচ্ছবি এবং আত্মার দোলাচলকে বিশ্লেষণ করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি মাত্র। এখানে তুলে ধরা হয়েছে মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, আত্মার দোলাচল, ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি, পারিবারিক টানাপোড়েন, সমাজের নির্লজ্জ নিরবতা, রাষ্ট্রের অসহায়ত্ব—সব মিলিয়ে জীবন নাকি মৃ*ত্যু কোনটি শ্রেষ্ট? এই আলো-আঁধারির উত্তর খোঁজার চেষ্টা মাত্র।

এই পর্যবেক্ষণগুলো কয়েকটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে কোথাও মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, কোথাও আত্মার দোলাচল, কোথাও ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি, কোথাও পারিবারিক টানাপোড়েন, কোথাও সমাজের নির্লজ্জ নিরবতা, কোথাও রাষ্ট্রের অসহায়ত্ব—সব মিলিয়ে জীবন নাকি মৃ*ত্যু কোনটি শ্রেষ্ট তারই পর্যবেক্ষণ মাত্র।

পলাশ সাহার মৃ*ত্যু ও আমার আত্মবিশ্লেষণের ভাবনা ১:

**শিরোনাম:**

“মরিলে হায়! মুক্তি মেলে? না, ওটা গুজব মাত্র”

আ*ত্ম*হ*ত্যা শব্দটা শুনলেই অনেকের মনে হয়—উহু, ভীষণ দুঃখজনক বিষয়। কেউ কেউ আবার বলে, “আহা, সাহসের কাজ!”

আবার কেউ বলে, “এ তো কাপুরুষতা!”

আর কিছু মানুষ, যারা ফেসবুকে সক্রিয়, তারা বলে, “এটা নিয়ে একটা পোস্ট দিতে হবে। গভীর কিছু লিখতে হবে। ইংরেজিতে না হলে চলছে না।”

তাদের জন্যই এই রচনা।

আ*ত্ম*হ*ত্যা—এ যেন এক প্রকার ‘পারমানেন্ট সলিউশন টু টেম্পোরারি প্রবলেম’।

মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, এটা আসে হতাশা, বিষণ্নতা, অপরাধবোধ, একাকিত্ব ইত্যাদি থেকে।

কিন্তু আমি বলি—মানুষ অনেক সময় আ*ত্ম*হ*ত্যা করে যখন তার হোয়াটসঅ্যাপে/ম্যাসেঞ্জারে “seen” দেখায় কিন্তু উত্তর আসে না।

আবার কেউ করে যখন সে বুঝে, “আসলে আমার বউ আমার মাকে পছন্দ করে না, আর মা বউকেও পছন্দ করে না।”

-এটির উত্তর বড়ো প্রহসন??????????????????????

সিনিয়র এএসপি পলাশ সাহার চিরকুট ছিলো এমনই এক ট্র্যাজিক স্ক্রিপ্ট—

“কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না।”

কে ভালো থাকে? ভালো মানুষরাই তো মরে!

আর বাকিরা হাঁটে স্ট্যাটাস দিয়ে: “Life is beautiful!”

অথচ পেছনে তাদের জীবনের অবস্থাটা—“ডেথ, আ বুক ফর অল দোজ হু শ্যাল ডাই” (সদগুরু)—এই বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের মতোই।

সদগুরু বলেন,

“Death is not the end of life. It is the climax of it.”

কিন্তু আধুনিক মানুষ climax বোঝে ওয়েব সিরিজ দেখে, জীবন দেখে না।

কেউ খেয়ে মরে, কেউ না খেয়ে, আর কেউ মরে অফিসে বসে বসে কাগজের উপর মাথা রেখে।

তবু মৃ*ত্যু আমাদের পেছন ছাড়ে না।

গসপেল অব জন-এ লেখা:

“Very truly I tell you, unless a kernel of wheat falls to the ground and dies, it remains only a single seed.” (John 12:24)

অর্থাৎ মৃ*ত্যু দরকার, তবে সেটা গাছ হওয়ার জন্য।

কিন্তু আমরা মরতে চাই নিছক পালানোর জন্য।

যেন জীবন এক দুঃস্বপ্ন, আর মৃ*ত্যু সেই ‘লগআউট’ বাটন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর ৭ লাখের বেশি মানুষ আ*ত্ম*হ*ত্যা করে।

এর মধ্যে তরুণদের হার দিনদিন বাড়ছে—বিশেষত ১৫-২৯ বছরের মধ্যে।

তাদের জন্য প্রেম মানে “মেসেঞ্জারের শেষ সিন”; শিক্ষা মানে “ভালো রেজাল্ট করেও চাকরি নেই”;

আর পরিবার মানে “তুই ওর বউয়ের কথাই শোনিস।”

এটাই সমাজ।

কিন্তু বন্ধু, একবার কি ভেবে দেখেছো?

যদি আ*ত্ম*হ*ত্যা করে সত্যিই মুক্তি মিলতো, তাহলে ফেসবুকে “স্টে স্ট্রং” লেখা পোস্টগুলো কেউ লিখত না।

তার চেয়ে বরং একটু দাঁড়াও, একটু কাঁদো, একটু হাসো।

যেমন গুলতেকিন লিখেছিলেন—

“কাঁদো, কাঁদো, এটাই প্রার্থনা”

জীবনের সব রঙ একসাথে আঁকা যায় না।

একটু কালো, একটু সাদা, একটু নীল, আর মাঝে মাঝে বিষণ্নতার হলুদ রং—

সব মিলিয়েই তো জীবন।

কিন্তু আ*ত্ম*হ*ত্যা সেই পেইন্টিং-এর মধ্যে ছুঁড়ে ফেলা এক টিউব কালো রঙ,

যা আর কোনো ক্যানভাসে আলো হতে পারে না।

তাই প্রিয় পাঠক, মৃ*ত্যু বোঝো, ঠিক আছে।

তাতে জীবন বোঝা যায়।

কিন্তু আ*ত্ম*হ*ত্যা?

ওটা জীবন বোঝার দরজা নয়, জানালা।

যেটা বন্ধ করলে আলোও ঢোকে না, হাওয়াও না।

তুমি ভালো থেকো।

কারণ কেউ না কেউ তোমার ভালোবাসায় এখনো বাঁধা পড়ে আছে—হোক সে মানুষ, হোক সে কবিতা।

 

পলাশ সাহার মৃ*ত্যু ও আমার আত্মবিশ্লেষণের ভাবনা ২:

**শিরোনাম:**

আমি দায়ী”—একটি আ*ত্ম*হ*ত্যাপত্র, একটি সমাজের আত্মপলব্ধি

**মূল বক্তব্য:**

“আমি কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না।”

পলাশ সাহা, একজন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, তাঁর পিস্তলের নল থেকে ছুটে আসা শেষ বুলেটের আগেই লিখে গিয়েছিলেন এই অক্ষরগুলো—একটি রাষ্ট্রের নীরব ব্যর্থতা, একটি সমাজের নিস্তব্ধ আত্মপলব্ধি।

“আমি কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না”—এই একটি বাক্যের ওজন কত?

পলাশ সাহা—একজন বিসিএস পুলিশ অফিসার, নিজের পিস্তল দিয়ে নিজের জীবন শেষ করলেন।

পলাশ সাহার চিরকুটের একটি বাক্যই আমাদের আত্মসমালোচনায় ডুবাতে যথেষ্ট—কীভাবে ভালোবাসা দিতে ব্যর্থ এক জাতি আমরা?

আ*ত্ম*হ*ত্যা শব্দটি এসেছে ল্যাটিন suicidium থেকে—sui (নিজ) + caedere (হত্যা)।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৭ লাখ মানুষ আ*ত্ম*হ*ত্যা করে। ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মৃ*ত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ এটি। বাংলাদেশেও পরিসংখ্যান ভয়াবহ: ২০২২ সালে আ*ত্ম*হ*ত্যার হার ছিল প্রতি লাখে প্রায় ৪.৭ জন।

আ*ত্ম*হ*ত্যা কি কেবল মানসিক রোগের বহিঃপ্রকাশ?

না, এটি অনেক সময় একটি দীর্ঘ সামাজিক, পারিবারিক ও সাংস্কৃতিক চাপের জটিল পরিণতি।

সুইস মনোবিজ্ঞানী কার্ল ইয়ুং বলেছিলেন,

“The sole purpose of human existence is to kindle a light in the darkness of mere being.”

কিন্তু যখন সেই আলো নিভে যায়, তখন জীবন হয়ে ওঠে শুধুই অস্তিত্বের বোঝা।

বাংলা সাহিত্যে আ*ত্ম*হ*ত্যার ছায়া

বাংলা সাহিত্যে এমন অনেক চরিত্র আছেন যারা বাইরের দুনিয়ায় “স্বাভাবিক” জীবনযাপন করলেও অন্তরে লুকিয়ে রেখেছেন এক অসহনীয় অন্ধকার, বিষাদ, বেদনা, বা আ*ত্ম*হ*ত্যার ছায়া। এদের অনেকে সরাসরি আত্মহননের পথ বেছে নেননি, কিন্তু তাঁদের মনোজগতে সেই প্রবণতা, আকাঙ্ক্ষা বা ছায়া স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। নিচে এমন কিছু উল্লেখযোগ্য চরিত্র দেওয়া হলো, লেখক ও উপন্যাসের নামসহ:

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চতুরঙ্গ’-এর শচীশ, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’-র মাধব, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’-র শশী—এরা প্রত্যেকেই সমাজের চোখে “স্বাভাবিক” ছিলেন, কিন্তু অন্তরে বহন করতেন এক অন্ধকার।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চোখের বালির বিনোদিনী- সামাজিক শৃঙ্খল ও আবেগের টানাপোড়েনে আত্মনাশী প্রবণতা ফুটে উঠেছে, যদিও শেষ পর্যন্ত আ*ত্ম*হ*ত্যা করেননি।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নষ্টনীড় এর হরিশ সমাজের চোখে ধর্মপ্রাণ ও শুদ্ধ, কিন্তু মনোজগতে অস্থির ও বিষণ্ণ ছিলেন তবে আ*ত্ম*হ*ত্যা করেননি। ।    

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই সময় এর নন্দু -দেশভাগের পটভূমিতে জন্ম নেয়া এক অসহায় ও অস্তিত্বজর্জর চরিত্র, যার আত্মহননের আকাঙ্ক্ষা স্পষ্ট তবে আ*ত্ম*হ*ত্যা করেননি।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রহীন উপন্যাসের রাজলক্ষ্মী সমাজের চোখে “পতিতা”, কিন্তু অভ্যন্তরে গভীর আত্মবিনাশী বেদনা ও প্রেমহীন অস্তিত্ব বয়ে বেড়ান। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ডাকঘরের অমল শিশুচরিত্র হলেও তার মৃ*ত্যু-আকাঙ্ক্ষা বা পরলোকে যাওয়ার প্রতীক্ষা এক গভীর দর্শনের প্রতিফলন।

এই চরিত্রগুলো “আ*ত্ম*হ*ত্যা” শুধু শারীরিক অর্থে নয়, আত্মিক ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে উপলব্ধি করে। তাদের মধ্যে বিষণ্ণতা, সমাজবিচ্ছিন্নতা, অপ্রাপ্তি এবং নিজেকে ধ্বংস করার ইচ্ছা প্রোথিত, যা তাদের যাপনকে আরও গভীর ও মানবিক করে তোলে। আর বাঙালি পাঠকের চেনা আবেগ এইসব চরিত্রে আত্মপরিচয়ের সুর খুঁজে পায়।

সদগুরুর দৃষ্টিভঙ্গিঃ সদগুরু তাঁর বই “Death: An Inside Story”-তে বলেন,

“Death is not a tragedy. It is just another dimension of life.”

কিন্তু একজন পুলিশ কর্মকর্তা, যে পেশাগতভাবে মৃ*ত্যু দেখেছেন, শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে জীবন চালিয়েছেন, তিনিই যখন মৃ*ত্যুকে একমাত্র মুক্তি মনে করেন, তখন প্রশ্ন ওঠে—এই সমাজ তাঁর কোন ব্যর্থ পাঠ দিয়েছে?

মানব মনের আত্মঘাতী প্রবণতা

আ*ত্ম*হ*ত্যা সাধারণত চারটি মানসিক পরিস্থিতি থেকে উৎসারিত হয়:

১. অবসাদ

২. অপরাধবোধ

৩. আত্মসম্মানহানি

৪. সামাজিক বিচ্ছিন্নতা

পলাশ সাহার চিঠিতে আমরা এই চতুর্দিক থেকে চেপে ধরা এক অন্তর্জ্বালার প্রতিফলন পাই—“আমি দায়ী” বলে তিনি শুধু নিজের নয়, এক বৃহত্তর ব্যর্থতার দায় স্বীকার করলেন।

এখন করণীয় কী?

  • মানসিক স্বাস্থ্যকে রাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকার দেওয়া
  • পেশাগত সহায়তা ও কাউন্সেলিং বাধ্যতামূলক করা
  • ব্রেকিং দ্য স্টিগমা: আ*ত্ম*হ*ত্যা নিয়ে খোলামেলা আলাপ
  • সাহিত্যে ও পাঠ্যপুস্তকে জীবনদর্শন তুলে ধরা

কিন্তু এসপি পলাশ সাহা কেন এই পথ বেছে নিলেন?

**সত্যিকারের বীরত্ব কেবল দেশ রক্ষায় নয়, আত্মা রক্ষায়ও।**

– এটা কী আপনার জানা ছিল না???????????????

আ*ত্ম*হ*ত্যার আগে কেউ চিৎকার করে না—তবে তার চিরকুট চিরকাল কথা বলে যায়।

তাতে লেখা থাকে—”আমার না বলা গল্প শুনে নিও, যদি পারো।”

তাই তিনি শেষ চিরকুটে লিখে গেছেন—

“আমি কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না।”

এই বাক্যটি কেবল ব্যক্তিগত যন্ত্রণার চিহ্ন নয়—**এটি এক জাতিগত আত্মদায়বদ্ধতার দলিল।**

“আমি কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না”— **একটি জাতিগত মনোব্যাধির নাম**

**আমরা কি কাউকে ভালো রাখতে পারি? **

**নাকি আমরা শুধু প্রত্যাশার বোঝা চাপিয়ে দিই, আর অবহেলার ভারে পিষে ফেলি একজন মানুষকে? **

 

পলাশ সাহার মৃ*ত্যু ও আমার আত্মবিশ্লেষণের ভাবনা ৩:

**শিরোনাম:**

 “মরতে গিয়ে বুঝলাম, বেঁচে থাকাই বিপ্লব!”

**মূল বক্তব্য:**

মৃ*ত্যুর ভাবনাটা মাথায় এলো, যখন মা বললেন, “তোর বউটাই তোর শত্রু!”

বউ বললো, “তুমি তো তোমার মা ছাড়া কিছু বুঝো না!”

বন্ধু বললো, “ভাই, গার্লফ্রেন্ডেরও তো এক্সট্রা ডিমান্ড থাকে!”

বস বললো, “আপনার কাজের মানে আমি পাই না!”

আমার মন বললো—“চল, পালিয়ে যাই!”

আর আমি বললাম—“না রে মন, আগে তো মরার আগে একটা ফেসবুক পোস্ট দেওয়া দরকার।”

যখন দেখি মানুষ মরেও শান্তি পায় না—দেখো না, কেউ আ*ত্ম*হ*ত্যা করলেই মিডিয়া কী চমৎকার করে হেডলাইন দেয়:

নিজের পিস্তলে অবসান!”

এমন ঢং করে লেখা, যেন পিস্তলটা একদিন এসে চাকরিটা নিয়েই ফেলেছিল!

সদগুরু বলেন,

“People are not afraid of death. They are afraid of the end of what they know.”

আর আমরা কী জানি?

জানি ‘বিয়েতে হীরার গয়না না দিলে সামাজিক মৃ*ত্যু’, ‘ফেইল করলে আ*ত্ম*হ*ত্যা’, ‘প্রেমে ধোঁকা খেলে বিষ খাওয়া’।

তবু বেঁচে থাকাটাই সবচেয়ে বড় রসিকতা।

একবার আ*ত্ম*হ*ত্যা করতে গিয়ে এক কবি লিখে গিয়েছিলেন:

“মরার আগে শেষ চা’ টা পান করতে চাই।

চায়ের কাপটা নামার আগেই বুঝলাম—চায়ে চিনি কম!”

এমন বিস্ময় নিয়ে কি কেউ মরতে পারে?

আমাদের সমাজে আ*ত্ম*হ*ত্যা মানে—একটা শেষ পোস্ট, একটা গা ছমছমে চিরকুট, আর তারপর হাজারটা লাইক-কমেন্ট:

“সে তো অনেক ভালো ছেলে ছিলো!”

“জীবনটা বড়ই নিষ্ঠুর”

“আল্লাহ মাফ করুন!”

কিন্তু কেউ বলে না—”বন্ধু, ওর যখন দরকার ছিল, তখন তুমি কোথায় ছিলে?”

**পৃথিবীটা একটা প্রহসন।**

কেউ নিজের জীবন শেষ করে শান্তি চায়, আর কেউ সিনেমার স্পয়লার শুনে আত্মসম্মান হারায়।

কেউ অফিসে ১০ ঘন্টা কাজ করে ঘরে এসে শুনে, “তুমি কিছুই করো না!”

তবে হ্যাঁ, মরতে গেলে একটাই জিনিস মনে রাখবে—

‘মরার আগে মোবাইলটা অফ করে যেও, না হলে মরার মাঝেও কল আসবে—”আপনি কি ক্রেডিট কার্ড নিতে আগ্রহী?”

তাই বলি বন্ধু,

**“বেঁচে থাকো**

কারণ মরার জন্য জন্ম হয়নি!

জন্ম হয়েছে মরে মরে বেঁচে থাকার জন্য!!!!

 

পলাশ সাহার মৃ*ত্যু ও আমার আত্মবিশ্লেষণের ভাবনা ৪:

**শিরোনাম:**

আ*ত্ম*হ*ত্যা কিছু আত্মীয়স্বভাব বা ও আত্মীয়তা—দুই শব্দে আত্ম, কিন্তু দুটিই বিপরীত

**মূল বক্তব্য:**

“আমি কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না।”

পলাশ সাহা—একজন পুলিশ অফিসার, একজন ভাই, একজন স্বামী, একজন সন্তান—এই চিরকুটে নিজেকে একাই দোষী ঘোষণা করে শাস্তি দিয়ে ফেললেন।

যাঁদেরকে ‘আত্মীয়’ বলি, তাঁদের কারণেই যদি আ*ত্ম*হ*ত্যার চিন্তা মাথায় আসে, তবে আত্মীয়তা এক বিষাক্ত ধোঁকা নয় তো?

আ*ত্ম*হ*ত্যা ও আত্মীয়তা—এই দুই শব্দে ‘আত্ম’ একই, অথচ পরিণতি বিপরীত!

বাংলা অভিধানে ‘আত্ম’ মানে নিজের।

‘আ*ত্ম*হ*ত্যা’ মানে নিজের শেষ,

‘আত্মীয়’ মানে যাদের ভরসায় নিজেকে টিকিয়ে রাখার কথা।

কিন্তু বাস্তবতা হলো—সবচেয়ে বেশি আ*ত্ম*হ*ত্যার কারণ হয় ‘আত্মীয়’ই।

তারা বোঝে না, প্রশ্ন করে না, পাশে থাকে না, অথচ বিচার করতে খুব ভালো পারে।

**হয়তো এই জন্যই আ*ত্ম*হ*ত্যা কখনো একক সিদ্ধান্ত নয়—এটা হয় বহুজনের নীরব সহায়তায় নেওয়া সিদ্ধান্ত।**

আর আমাদের সমাজ করল কী?

হেডলাইন বানালো: “এসপি পলাশ সাহার আ*ত্ম*হ*ত্যা: পেছনে পারিবারিক দ্বন্দ্ব?”

এই ‘পেছনে’ শব্দটার পেছনেই তো পুরো ট্র্যাজেডি লুকিয়ে থাকে। কারণ আমরা তো সব কিছু “পেছনে” ফেলে রাখতেই অভ্যস্ত।

আপনার প্রশ্ন—“বিসিএস ক্যাডার হয়ে, পুলিশ অফিসার হয়ে, সে আবার কিসের কষ্ট পায়?”

এই প্রশ্নটা একদিকে যেমন নিরীহ, অন্যদিকে তেমনই নির্মম।

যেমন কেউ জিজ্ঞেস করে—“সেলিব্রেটিদের কি মন খারাপ হয়?”

বা—“ডিপ্রেশনে থাকা লোকজন এত হাসে কেন?”

আসুন একটু জেনে নিই—মনস্তত্ত্ব কি বলে?

আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (APA) বলছে, আ*ত্ম*হ*ত্যার প্রবণতা কেবল দারিদ্র্য, বিচ্ছিন্নতা বা মানসিক রোগ থেকেই আসে না—বরং “perceived burdensomeness” বা “নিজেকে বোঝা মনে করা” এক বড় ট্রিগার।

এসপি পলাশ সাহার চিঠিতে বারবার ফুটে উঠেছে সেই অনুভব—

“আমি দায়ী”

“আমি কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না।”

এ যেন শেক্সপীয়ারের হ্যামলেটের সেই বিখ্যাত লাইন—

“To be or not to be…”

তবে আমাদের দেশে প্রশ্নটা দাঁড়ায়—“ভালো থেকেও মরব, না খারাপ থেকেও বাঁচব?”

সদগুরুর দৃষ্টিভঙ্গি

সদগুরু তাঁর বই “Death: An Inside Story”-তে বলেন,

“People think death is an end. But it is the most significant transition one can consciously make.”

তিনি আ*ত্ম*হ*ত্যাকে অজ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখেন, যেখানে ব্যক্তি নিজের সঙ্গে এমন এক অনাদরের অবস্থানে চলে যায়, যা তাকে বেঁচে থাকার যৌক্তিকতাই ভুলিয়ে দেয়।

ধর্ম কী বলে?

ইসলামে আ*ত্ম*হ*ত্যা হারাম। কোরআনের (সুরা নিসা ৪:২৯) বাণী:

“তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম করুণাময়।”

খ্রিস্ট ধর্মে (The Gospel of John):

“The thief comes only to steal and kill and destroy; I have come that they may have life, and have it to the full.”

জীবনকে পূর্ণতায় যাপন করাই সৃষ্টিকর্তার আহ্বান।

আর সমাজ?

সমাজ প্রথমে বলে—“মন খারাপ করলে বলো।”

আর যখন কেউ বলে, তখন উত্তর আসে—“তুই তো সব কিছু পেয়েছিস!”

জীবন যেন এক কুইজ—যেখানে কেউ প্রশ্ন করলে, বাকিরা শুধুই উত্তর খোঁজে, বোঝে না।

আ*ত্ম*হ*ত্যা ও আত্মীয়তার পারস্পরিক সম্পর্ক

বাংলা অভিধানে ‘আত্ম’ আর ‘আত্মীয়’—একই উপসর্গ!

কিন্তু আত্মীয়দের মধ্যেই আ*ত্ম*হ*ত্যার বীজ সবচেয়ে সহজে জন্মায়।

যেমন—

“বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায়”—এই বাক্যে প্রেম নেই, আছে দায়িত্বের বিদায়।

“দুই ভাই যেন মাকে দেখে”—এই লাইনে আছে ক্লান্ত এক ছেলের চূড়ান্ত ক্লোজিং নোট।

“দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে”—এটা তো মিটিং-এর minutes না!

কিন্তু এই মন, শেষবারও সিস্টেম রেখে গেল!

রাষ্ট্রের দায়?

রাষ্ট্র তো দায়িত্ববান। কারণ রাষ্ট্রে আছে ‘Suicide Prevention Hotline’।

যেখানে ফোন করলে আপনি শুনবেন—“আপনার কলটি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, দয়া করে অপেক্ষা করুন!”

(হ্যাঁ, আ*ত্ম*হ*ত্যার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর কেউ ৩ মিনিট মিউজিক শুনে অপেক্ষা করে না!)

আমরা, সুশীল সমাজ?

আমরা দুঃখে চোখের জল ফেলি, কিন্তু কখনও কারও চোখের জল পড়ার আগে তার দিকে তাকাই না।

আমরা দুঃখীকে বলি—“মনোবল রাখো”

কিন্তু কেউ জিজ্ঞেস করি না—“তোমার সঙ্গে আমি ১৫ মিনিট বসি?”

কারণ সময় কম, সিরিজ অনেক, আর মানুষ?

সে তো মরেই যাচ্ছে!

জীবন এমন এক রুম, যার এক পাশে আলোর সুইচ থাকে, অন্য পাশে দরজা।

আ*ত্ম*হ*ত্যাকারীরা ভাবে দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেলেই সব সহজ,

কিন্তু কেউ যদি একটু বলতো—“ভাই, আগে আলোটা জ্বালিয়ে দেখো, দরজাটা হয়তো খোলাই লাগেনি!”

এ জন্যই বলি—

মরতে চেয়েও বেঁচে থাকাটা এখন এক বিপ্লব।

আর যারা বেঁচে থেকেও অন্যদের ভালো রাখতে চায়—তাদের নাম আমরা ঠিক রাখতে পারি না, কিন্তু গালি দিতে খুব ভালো পারি।

তবু তারা বেঁচে থাকে—আ*ত্ম*হ*ত্যার বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকা এক নীরব, মৃদু হাসিমুখের প্রতিরোধ।

এটাই কী তাহলে আ*ত্ম*হ*ত্যা কিছু আত্মীয়স্বভাবএর নমুনা???????????

পলাশ সাহার মৃ*ত্যু ও আমার আত্মবিশ্লেষণের ভাবনা ৫:

**শিরোনাম:**

**ধর্ম, দর্শন ও মৃ*ত্যু—কারা পারে আ*ত্ম*হ*ত্যার ভাষা পড়তে?**

**মূল বক্তব্য:**

ধর্ম, সংসার ও সমাজ—এই ত্রি-মূখী দৃষ্টিভঙ্গির মাঝে আ*ত্ম*হ*ত্যা শুধু মৃ*ত্যু নয়, এক নীরব প্রতিবাদের ভাষা হয়ে ওঠে।

**আ*ত্ম*হ*ত্যা কী পাপ, না সমাজের এক রূপান্তরিত প্রতিবাদ? **

সদগুরু তাঁর বই “Death: An Inside Story”-তে বলেন—

“People think death is an end. But it is the most significant transition one can consciously make.”

কিন্তু আমরা কি কখনো বুঝতে চাই, কেউ কেন চায় এই ‘transition’?

শুধু ধর্ম দিয়ে কি আমরা ব্যাখ্যা করতে পারি, কেন কেউ মায়ের দায়িত্ব অন্য ভাইয়ের হাতে দিয়ে যায়?

**না, আ*ত্ম*হ*ত্যা এক মানসিক তুষারপাত, যা বাইরের তাপমাত্রা দেখে বোঝা যায় না।**

**আমরা গায়ে চাদর গুঁজে থাকি, অথচ পাশে বসা মানুষটা হিমে জমে যাচ্ছিল—টেরই পেলাম না।**

পলাশ সাহার মৃ*ত্যু ও আমার আত্মবিশ্লেষণের ভাবনা ৬:

**শিরোনাম:**

**রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারের সম্মিলিত ব্যর্থতা—আ*ত্ম*হ*ত্যার মূল হোতা কে?**

**মূল বক্তব্য:**

রাষ্ট্র কেবল প্রচার করে “মন খুলে বলুন”, কিন্তু শোনে না।

আ*ত্ম*হ*ত্যা একজনের মৃ*ত্যু, কিন্তু সমাজের ব্যর্থতার ঘোষণা।

রাষ্ট্র কি আ*ত্ম*হ*ত্যা রোধ করতে পারে?

রাষ্ট্র বলে—“সেলফ কেয়ার করো।”

সুশীল সমাজ বলে—“আমরা আছি তোমার পাশে।”

আর যখন কেউ বলে, “আমি আর পারছি না।”

তখন উত্তর আসে—“তুই তো বিসিএস ক্যাডার!”

এমন সমবেদনা শুনে আ*ত্ম*হ*ত্যার আগে মানুষ ভাবতে পারে—

“আর একটু আগে মরলে তো ভালোই হতো।”

রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার—তিন জন মিলে যখন কারও কান্না শুনেও ফোন সাইলেন্ট করে রাখে, তখন আ*ত্ম*হ*ত্যা শুধু ব্যক্তিগত দুর্বলতা নয়, এক বৃহত্তর ব্যর্থতার দলিল হয়ে দাঁড়ায়।

পলাশ সাহার মৃ*ত্যু ও আমার আত্মবিশ্লেষণের ভাবনা ৭:

**শিরোনাম:**

**আ*ত্ম*হ*ত্যার চিঠি কি মরে যাওয়ার আগে জীবনের শেষ সংবিধান?**

**মূল বক্তব্য:**

চিরকুটে পরিবারকে সম্পত্তি ভাগ করে দেওয়া, দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া—এই গুছানোটা কিসের সংকেত?

**আ*ত্ম*হ*ত্যার চিঠিতে কেন থাকে এত সুশৃঙ্খল দায়িত্ববোধ? **

“স্বর্ণ যেন বউ নিয়ে যায়।”

“মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের।”

“দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।”

এগুলো কোনো পরিবারিক চিঠি নয়,

এগুলো জীবনত্যাগের শেষ মিটিং-এর ‘minutes’।

**আমরা বাঁচতে চাইলেও এমন গুছিয়ে লিখি না।**

 

 

 

 

 

One Response

  1. Assalamualaikum sir
    Kamn achen??
    মৃত্যু অনিবার্য এটা রং সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হবেই। আত্মহত্যা আরোও ভয়াবহ।এটা প্রতিটা মানুষই জানে তবুও সে ওই পথে যায়। নিশ্চয়ই সেখানে এমন‌কিছু আছে যা তাকে দিনের পর দিন‌ জীবন নিয়ে নিরুৎসাহিত করছে।আসলে আমরা সবাই দোষ‌দিয়ে অভ্যস্ত কিন্তু আসলে সত্য কোনটা জানি না।একটা বিষয়ে আসি স্যার অমর সাথে ১৬ বছরের এক মেয়ের কথা হয়েছে সে জীবন বুঝলো কি কিন্তু সে বাঁচতে চায় ন‌আমি তর কাউন্সিলিং করি ।তার কথা তার বাবা মা সব সন্তানকে সমান‌আদর করে না।এখন‌ আত্মহত্যা কমাতে আমাদের মানুষের অনূভুতির কাছে আসতে হবে । বুঝতে হবে। ইনট্যাক্ট স্যার আমার নিজের জীবনের জটিলতার শেষ‌‌ নাই। মানুষ যখন‌মানুষের অনুভূতিকে মূল্য দিবে হয়তো‌ সুস্থ ভাবে বাঁচতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *